ঢাকা : সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলিস্তানস্থ মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের আস্ফালন বন্ধ করতে হবে। জনগণের সুবিধার্থে জিনিসপত্রের দামও কমাতে হবে।
হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালি হয়ে যুদ্ধ করেছেন মন্তব্য করে জাসদ সভাপতি বলেন, ‘জয় বাংলা’ বলে আত্মাহুতি দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ব্যর্থতা যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে, সাম্প্রদায়িকতার আলখেল্লা পড়ে বিভক্ত করা হচ্ছে।
‘ও পাড়ায় হিন্দু, ও পাড়ায় মুসলিম, মানুষ কোন পাড়ায়’ মন্তব্য করে ইনু বলেন, ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতা করবে না, ভাগ করবে না, বৈষম্য করবে না। সব পাড়ায় বাঙালি দেখতে চাই, সব পাড়ায় মানুষ দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে সংবিধানে এখনও সাম্প্রদায়িকতার ছাপ আছে, সামরিক শাসনের ছাপ আছে। বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের
মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৫৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, নির্বাহী সভাপতি আ্যাড. দ্বীনবন্ধু রায়, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, সংগঠনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা জানান ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, পাকিস্তান যখন গঠন করা হয় তখনও বাংলাদেশে হিন্দু ছিল ৩৩ শতাংশ। সেটা বর্তমানে কমতে কমতে এখন ৭.৯ শতাংশে নেমেছে। সেসময় পাকিস্তানের সংসদে এমপি ছিল ৭২ জন, বর্তমানে সেটা কমতে কমতে ১৬ জনে নেমেছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হলেও কোনো হিন্দু এমপি এর প্রতিবাদ করেননি। এজন্য ধর্মীয় সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে আসন নির্ধারণ করতে হবে।
সম্মেলনে সারাদেশের জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।