মুজিবনগরে ধর্ষণ চেষ্টার হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা , ভরসা পিবিআই তদন্তে।

মুজিবনগর থেকে ডালিম সারোয়ারঃ


মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রাম  পেঁয়াজ  উৎপাদন ও ব্যবসাতে এ গ্রাম প্রসিদ্ধ।   জীনারুল গাজী শিবপুর গ্রামের একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী।সে সূত্রে   তিনি তার আর তিন ভাইকেও  ব্যবসায় চালিয়ে   ফিরিয়ে নেন। ০৪/০৩/২০২৩ তারিখে দুপুরের দিকে গ্রামের সাইফুল ইসলাম ওরফে কালু র  সাথে তার  এক   ভাইয়ের  শিবপুর  টেংরামারী বাইপাস সড়কের   পাশে কৃষি   জমিতে   পেঁয়াজ কেনা   নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।      কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে  উভয়পক্ষের মধ্যেই এক  ধরনের  হাতাহাতি হয়  উভয়পক্ষেই  কম বেশি শারীরিকভাবে   আঘাতপ্রাপ্ত হয়।        কৃষি  জমিতে   সেই হাতাহাতি  স্থানীয়  পর্যায়ের  গণমান্য  ব্যক্তিদের  হস্তক্ষেপে সাময়িক মীমাংসা হয়।    মীমাংসা কারীদের মধ্যে অন্যতম একজন ওয়ার্ড     আওয়ামী লীগের   সাধারণ    সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম।   এবং উভয় পক্ষকে তিনি ডেকে বলেন যে  ছোটখাটো  বিষয়ে থানায়  অভিযোগে না  করে  স্থানীয় ভাবে মীমাংসা     করলে ভালো   হয় কিন্তু সন্ধ্যা  না  হতেই দুই পক্ষই  থানার দ্বারস্থ  হয় পাল্টাপাল্টি  অভিযোগ  নিয়ে। মুজিবনগর      থানায়  ০৫/০৩/২০২৩  তারিখে  উভয়পক্ষ অভিযোগ  করেন  একে  অপরের  প্রতি   দোষারোপ করে। কিন্তু ০৭/০৩/২০২৩ তারিখে সাইফুল ইসলাম কালু এর মা রুহুলা খাতুন ( ৪০)  বাদী হয়ে   মেহেরপুর  কোর্টে  ২০০০ সালের নারী ও শিশু     নির্যাতন  দমন  আইন  (সংশোধনী ২০০৩)  এর ৯/৪ খ  ধারায় একটি  মামলা দায়ের  করেন। সে মামলায় রয়েছে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ। এবং মামলাতে স্পষ্টত‌ থানার কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ   করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে  মুজিবনগর   থানা  তাদের  মামলা  গ্রহণ  না  করে আদালতে যাওয়ার  পরামর্শ দেয়।    তবে এ বিষয়ে রুহুলা খাতুনের  অভিযোগের  পক্ষের সাক্ষীগনের  কথার  মধ্যেও গোঁজামিল  পাওয়া যায়।    স্থানীয় সূত্রে  ওয়ার্ড  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  সাজেদুল ইসলাম  বলেন তাদের মাঠের হাতাহাতির বিষয়টি   তিনি জানেন  এবং আপোসের চেষ্টাও  করেন কিন্তু   ধর্ষণ চেষ্টা বিষয়টি   সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মনে করেন।     স্থানীয় অন্য আরেকজন অবসর প্রাপ্ত সেনা  সদস্য   হাবিবুর   রহমান     বলেন   এটি  ব্যক্তিগত আক্রোশেরই প্রতিফলন।     ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমরা সচরাচর রাত বারোটা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রুহুলা  খাতুনের বাড়ির পাশের আলমগীরের চায়ের দোকানে আড্ডা  দিই কিন্তু এই  ধরনের  কোন ঘটনা আমরা শুনিনি ও জানি না।     এই অভিযোগের   প্রেক্ষিতে জীনারূল  গাজী নিজেকে  নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন যেহেতু   ঘটনাটি  রাত্রি ১১ঃ০০  টার  দিকে  বলেছে   বাদি রুহুলা খাতুন ।  তখন অবশ্যই চায়ের দোকানের মানুষজন ছিল তারা অবশ্যই জানতে পারার কথা।    কিন্তু তারা কেউ জানে না।      তিনি আরো বলেন তদন্ত গেছে পিবিআই এর কাছে ।   পিবিআই এর প্রতি  সম্পূর্ণ আস্থা  আছে  আমার। তাই আমি  বিশ্বাস  করি  নিরপেক্ষ  তদন্তের   মাধ্যমে আমি নির্দোষ  প্রমাণিত    হব।

রিলেটেড পোস্ট

Leave a Comment