এসএম জামাল, কুষ্টিয়া :
রত্নগর্ভা সম্মাননা পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সুলতানা রাশিদা টগর।
শুক্রবার (০২ জুন) কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম সুলতানা রাশিদা টগরের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ‘জাগ্রত গুণীজন সম্মাননা-২০২৩ এ উপলক্ষ্যে সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বড়গাংদিয়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। এবং কুষ্টিয়ার জনপ্রিয় এবং মানবিক চিকিৎসক ডা: এ.জে.এম.মুসাদ্দেক রেজা রিপনের মা।
সে সময়ের কঠিন সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুশাসনের বেড়াজাল ভেদ করে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় সুলতানা রাশিদা টগরকে সংসার ধর্মের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়।
বৈবাহিক জীবনের দীর্ঘ চার দশকের পথ চলায় নানা বাধা বিপত্তি আর ঝড় ঝাপ্টা পার করেছেন তিনি তার বিচক্ষন মেধা, অপরিসীম ভালোবাসা আর পাহাড়সম ধৈয্য দিয়ে।
সন্তানদের সুশিক্ষা দিয়ে দেশে-বিদেশে আলোকিত ও বিকশিত করে তুলেছেন তিনি।
তাঁর সন্তানদের কেউ হয়েছেন চিকিৎসক, সমবায় কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার, কেউ হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউ হয়েছেন শিক্ষক। রত্মগর্ভা মা হিসেবে সমাজে সমাদৃত সুলতানা রাশিদা টগর।
জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জাগ্রত জনতার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম, মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী, কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি এসএম জামালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রত্নগর্ভা সম্মাননা পেয়ে তিনি তার অভিব্যাক্তিতে বলেন, আজকে আমাকে এই রত্নগর্ভা সম্মাননা আমার শেষ বয়সে এসে অনেক আনন্দ দিয়েছে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে আমার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়েছে।
সফল জননী হিসেবে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, সন্তানদের সব সময় বুঝিয়েছি শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করে প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না। লেখাপড়া হচ্ছে স্থায়ী সম্পদ। লেখাপড়া শিখে নিজে আলোকিত হয়ে সমাজকে আলোকিত করা যায়। এ বয়সেও যেন তিনি তৃপ্তির মহিমায় উজ্জ্বল একজন সফল জননী। তিনি এখন সবার কাছে রত্নগর্ভা ‘মা’ হিসেবে পরিচিত।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো একজনকে গুণীজন ও ৬ দম্পতিকে আদর্শজুটিসহ সমাজেসেবায় অবদান রাখায় সম্মাননা দেওয়া হয়।
তাঁর প্রথম কন্যা তামান্না। তিনি কুষ্টিয়া দিণমনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
দ্বিতীয় পুত্র ডা: এ.জে.এম.মুসাদ্দেক রেজা রিপন (এমবিবিএস, বিসিএস) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তৃতীয় নূর-ই-জান্নাত ইংরেজীতে এম এ এবং এমপিএ (আইইআর) ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি সমবায় বিভাগ, ঢাকার বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত আছেন। চতুর্থ পুত্র ডা: এ.এফ.এম.মুনতাহী রেজা রুবেল এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস (ইউরোলজি) এমএস (ইউরোলজি-আবাসিক), বিএসএমএমইউ হিসেবে কর্মরত। পঞ্চম এবং সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র আ.হ.ম. সামিউল বাসির রাজা, টেক্সাইল ইঞ্জিনিয়ার, (গার্মেন্টস গ্রুপ কোম্পানির ম্যানেজার)হিসেবে কর্মরত রয়েছে।