এস এম জামাল,কুষ্টিয়া :
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফাউন্ডেশন সম্মাননা ২০২৩ উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া টেগর লজে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি সৈয়দা হাবিবা।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২২ মার্চ বিকেল চারটায় কুষ্টিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফাউন্ডেশন সম্মাননা ২০২৩ সম্মাননা প্রদান করা হবে।
প্রতিবছর আমরা দুই দেশের দুইজন কৃতি ব্যক্তিকে এ সম্মাননা প্রদান করে আসছি। এ যাবত ৬ জনকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এবারেও দুই দেশের দুই কৃতিকে এ সম্মাননা জানানো হবে। এবার যে দুজনকে সম্মাননা জানানো হচ্ছে বাংলাদেশের সৈয়দ আকরম হোসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। তিনি ছিলেন নীতিনিষ্ঠ শিক্ষক, সৃজনশীল রবীন্দ্র গবেষক ও দক্ষ শব্দ কুশলী। তার গবেষণাকর্ম নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সমকালীন সকল গবেষক শিক্ষার্থীকে ঋদ্ধ করেছে। নতুন ভাষাভঙ্গি, সৃজনশীল বাক্যবিন্যাস ও নতুন শব্দ সৃজনে বাংলাদেশের আপামর শিক্ষক গবেষকরা আজ যে প্রজ্ঞাশাণিত, তাঁর কৃতিত্বের বড় অংশ প্রফেসর সৈয়দ আকরম হোসেনের। তার নিজস্ব গবেষণা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যেমন নতুন আঙ্গিকে জানার সুযোগ করে দিয়েছে,,,, তেমনি অসংখ্য গুনগ্রাহী পাঠক ও লেখককে একটি অভিনতূন ভাষাভঙ্গির দিকে চালিত করেছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফাউন্ডেশন সম্মাননাপ্রাপ্তের আরেকজন হলো ড. ছন্দা ঘোষাল।
তিনি ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় মেদিনিপুর-এ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রফেসর পদে অধ্যাপনায় রত।
ভারতবর্ষের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যিক এমএ এমফিল পিএইচডি উপাধি লাভ করেন তিনি। ড. ছন্দা ঘোষাল এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতার আজীবন সদস্য। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অনেক সম্মাননা।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে এই সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। ঐ অনুষ্ঠানের দিন পুরষ্কার তুলে দেবেন অতিথিবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে কবি আক্তারুজ্জামান চিরু ও রোটারি ক্লাব অব কুষ্টিয়ার সেক্রেটারি তুষার রতনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।