এইচএসসি পরীক্ষায় গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেলায় প্রথম স্থান অর্জন

এইচএসসি পরীক্ষায় গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেলায় প্রথম স্থান অর্জন

সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরে ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ শতভাগ পাস করার পাশাপাশি মেহেরপুর জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। মেহেরপুর জেলার পাশের শতকরা হার ৭৫.৭৪% । মেহেরপুর জেলা জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৬ জন।

২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় মেহেরপুর জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ৩ হাজার ৪২৬ জন। মেহেরপুর জেলায় ২৯৬ জন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ২ হাজার ৫৯৫ জন। মেহেরপুর জেলার পাশের হার ৭৫.৭৪%। মেহেরপুর জেলায় ১৯ টি কলেজের মধ্যে গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ তাদের শতভাগ পাশের রেকর্ড অক্ষুন্ন রেখেছে।

২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোট ৯১ জন পরীক্ষার দিয়ে ৪৮ জন জিপিএ-৫ সহ সকলেই পাশ করে জেলায় তাদের প্রথম স্থান ধরে রেখেছে।

মেহেরপুর জেলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে করমদি কলেজ। করমদি কলেজ থেকে ১৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ১৬ জন জিপিএ-৫ সহ ১৪০ জন পাস করেছে। করমদি কলেজের শতকরা পাশের হার ৯৫.২৩%।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে তেরাইল জোরপুকুরিয়া কলেজ। এখান থেকে এবার ৬৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ১জন জিপিএ-৫ সহ ৬২ জন পাস করেছে। যার পাশের শতকরা হার ৯২.৫৩%। এরপরে রয়েছে বামুন্দি নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজ। এখান থেকে ১০৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ১২ জন জিপিএ-৫ সহ ১০১ জন পাস করেছে। যার পাশের শতকরা ৯২.৬৬%।

এরপরের অবস্থান রয়েছে গাংনী ডিগ্রী কলেজ। এখান থেকে ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩০ জন জিপিএ-৫ সহ ২৯১ জন পাস করেছে। যার পাশের শতকরা হার ৮৫.০৮%। এরপরে রয়েছে মেহেরপুর সরকারি কলেজ। এখান থেকে মোট পরীক্ষা দিয়েছিল ৪৩১ জন। ২৮ জন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ৩৫৩ জন। যার পাশের শতকরা হার ৮১.৯০%।

মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৫৬ জন। পাস করেছে ৪৫ জন।এখানে পাশের শতকরা হার ৮০. ৩৫ %। মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৬৫৩ জন। এখান থেকে সর্বাধিক ৯২ জন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ৫১৩ জন। মহিলা কলেজে পাশের শতকরা ৭৮.৫৬ ভাগ।

গাংনী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোট পরীক্ষা দিয়েছিল ৭৬ জন।১জন জিপিএস-৫ পাস করেছে ৬০ জন। এখানে পাশের শতকরা হওয়ার ৭৮.৯৪ %।জাদুখালি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১২১ জন।৮ জন জিপিএ-৫ সহ পাশ করেছে ৮৯ জন। যার পাশের শতকরা ৭৩.৫৫%। কাজীপুর কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১৬৪ জন। ১১ জন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ১১৪ জন যার পাশের শতকরা হওয়ার ৬৯.৫১ ভাগ।

গাংনী মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২৫৩ জন। ২০ জন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ২২৬ জন। যার পাশের শতকরা হার ৬৯.৩২ %। মহাজনপুর কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৭৫ জন। ২ জন জিপিএ-৫ পাস করেছে ৪৬ জন। যার পাশের শতকরা ৬১.৩৩ %। মেহেরপুর ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৩৭৭ জন। ২২ জন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ২২৫ জন। এখানে পাশের শতকরা ৫৯. ৬৮ % ।

মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৩১২ জন। ৪ জন জিপিএ-৫ সহ পাশ করেছে ১৭৮ জন। যার পাশের শতকরা হার ৫৭.০৫% ভাগ। এ আর বি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১০৫ জন। ১জন জিপিএ-৫ সহ পাশ করেছে ৪৫ জন। যার পাশের শতকরা হার ৪২.৮৫%। বিএন কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২৯ জন। পাস করেছে ১২ জন। যার পাশের শতকরা হার ৪১.৩৭ %।

মড়কা জাগরণ কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৯ জন। পাস করেছে ২ জন।এখানে পাশের শতকরা ২২.২২ %। কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১৯ জন। পাস করেছে মাত্র ২ জন। যার পাশের শতকরা হার ১০.৫২%।

রিলেটেড পোস্ট

Leave a Comment